এবার আফ্রিকান নেশনস কাপে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আইভরিকোস্ট। এতে দলটির প্রত্যেক খেলোয়াড়কে পাঁচ কোটি সিএফএ ফ্রাঁ বোনাস দেয় আইভরিকোস্টের সরকার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯১ লাখ টাকার সমান। শুধু নগদ অর্থই নয় সব খেলোয়াড়কে একই মূল্যের ভিলা বা বাড়ি উপহারও দেয়া হয়েছে।
রানার্সআপ নাইজেরিয়ার খেলোয়াড়রাও দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জমি ও ফ্ল্যাট উপহার পেয়েছেন। দলের সেরা পারফরম্যান্স বের করে আনতে কিংবা দলকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রেরণা জোগাতে পুরস্কার ঘোষণা কিংবা পুরস্কার দেয়া রেওয়াজও নতুন নয়।
সবশেষ ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে টাইগারদের প্রত্যেকে বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ।এবার নগদের দেখানো পথে হাঁটলো ভারতের রঞ্জি ট্রফির দল হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এইচসিএ)।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্লেট গ্রুপ ফাইনালে মেঘালয়কে ৫ উইকেটে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফির আগামী মৌসুমে এলিট গ্রুপে উন্নীত হয়েছে হায়দরাবাদ। দল শীর্ষস্তরে ওঠায় হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন যারপরনাই খুশি। মেঘালয়ের বিপক্ষে জয়ের পর দলের জন্য ১০ লাখ রুপি এবং সেরা পারফরমারের জন্য ৫০ হাজার রুপি আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
তবে ভারতের রাজ্য ক্রিকেট দলের এ সংস্থার সভাপতি জগন মোহন রাওয়ের মন্তব্য সবার নজর কেড়েছে। তিনি বলেছেন, আগামী ৩ বছরের মধ্যে হায়দরাবাদ রঞ্জি ট্রফি জিততে পারলে দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে বিএমডব্লিউ এবং দলকে এক কোটি রুপি দেয়া হবে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জগন মোহন রাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড়কে একটি করে বিএমডব্লিউ গাড়ি এবং দলকে নগদ এক কোটি রুপি দেয়া হবে, যদি আগামী তিন বছরের মধ্যে দল রঞ্জির এলিট ট্রফি জিততে পারে।’
এদিকে ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ তার উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে, ‘এই ঘোষণা খেলোয়াড় এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রেরণা দেয়ার জন্য। আগামী বছর এই লক্ষ্য অর্জন বাস্তবতা-চিন্তায় অসম্ভব। তাই আমি তিন বছর সময় দিয়েছি।’
এদিকে রঞ্জিতে ১৯৩৭-৩৮ এবং ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে শিরোপা জিতেছে হায়দরাবাদ। কিন্তু গত মৌসুমে এলিট গ্রুপ ‘বি’ থেকে পয়েন্ট তালিকায় সবার তলানিতে থাকায় প্লেট পর্বে নেমে যায় রাজ্য দলটি। ৭ ম্যাচে মাত্র ১ জয় পেয়েছিল।